বাংলা ভাষা আমার ভাষা – আবদুল বাতেন।

২১ শে ফেব্রুয়ারী মহান ভাষা দিবস এবং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। আমরা হইলাম পৃথিবীর একমাত্র জাতি যারা ভাষার জন্য রক্ত দিয়েছি এবং ভাষার নামে পৃথিবীতে একমাত্র দেশ বাংলাদেশ। বিনম্র শ্রদ্ধা সকল ভাষা সৈনিকের প্রতি।

বাংলা ভাষাকে আন্তর্জাতিক ভাবে পরিচিত করার জন্য ইংরেজি ভাষার বিকল্প নেই। তাই শুদ্ধ বাংলা ভাষা জানার যেমন প্রয়োজন আছে তেমনি ইংরেজি ভাষা জানার ও প্রয়োজন আছে।আমরা যারা বাঙালি তারা ইংরেজি ভাষাকে মূলত বাংলা ভাষায় রূপান্তর করেই বলে থাকে। অর্থাৎ যে যত ইংরেজি ভাষায় দক্ষ সে তার চেয়েও বেশি বাংলা ভাষায় দক্ষ।

ইদানীং অনেক সুশীল সমাজ বাংলা ভাষা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।তারা বুঝানোর চেষ্টা করেছেন, বাংলা ভাষায় কথা বলতে গিয়ে অনেকে অহেতুক ইংরেজি ভাষা টেনে আনার কারণে বাংলা ভাষার মাধুর্যতা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। আবার মহামান্য হাইকোর্ট থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে ইংরেজি ভাষায় কোন সাইনবোর্ড থাকতে পারবে না,সব বাংলায় করতে হবে।

যেখানে আমার মতামতটা একেবারে ভিন্ন। আমি মনে করি, ভাষার মাধ্যমে মানুষের জ্ঞান, দক্ষতা, রুচিবোধ, আচার ব্যবহার ইত্যাদি প্রকাশ পায়। আমাদের ভাষা রক্ষা করার জন্য শুদ্ধ বাংলা ভাষার বিকল্প নেই। যা আমরা বই পুস্তক থেকে সহজে অর্জন করতে পারি। তার পাশাপাশি আমাদের আঞ্চলিক ভাষাটাকেও সুন্দর ভাবে শিখে রাখতে হবে, না হয় আমরা আমাদের মূল হারিয়ে ফেলবো। পাশাপাশি ইংরেজি ভাষাকেও আমাদের পরিপূর্ণ ভাবে জানতে হবে। না হয় জাতি হিসেবে আমরা পিছিয়ে যাব।

বাংলা আমাদের মাতৃভাষা তাই ইহা আমাদের প্রথম ভাষা। ইংরেজি যেহেতু আন্তর্জাতিক ভাষা, তাই ইহা আমাদের চর্চা করতে হবে। অনেক সময় বাংলা বলতে গেলে ইংরেজি চলে আসে।এতে দোষের কিছু না।দুটি ভাষা মিশিয়ে বলতে বলতে এক সময় ইংরেজি ভাষায় দক্ষতা চলে আসবে। একসময় দুটি ভাষাই সুন্দর ভাবে বলতে পারবে। বাংলা বলতে গিয়ে দুই একটা ইংরেজি চলে আসলে যদি আপনি বাধা দেন তাহলে তার আর কখনো ইংরেজি শেখা হবে না।

তবে হ্যাঁ, যারা ফ্যাশন হিসেবে বাংলা ভিতরে ইংরেজি ঢুকিয়ে দেন তারাই বাংলা ভাষার জন্য কবর তৈরি করছেন।যা একেবারে ঠিক না।

পরিশেষে, আমরা বাংলা ভাষা শিখার চেষ্টা করি।এতে যারা ভাষার জন্য জীবন দিয়েছে তাদের আত্মা শান্তি পাবে।

লেখকঃ আবদুল বাতেন
শিক্ষাবিদ ও ব্যাংকার

     আরো পড়ুনঃ

পুরাতন খবর:

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১